
“সংসদে কে যাবে, সেটি নির্ধারণ হবে বাংলাদেশ থেকে, ভারত থেকে নয়।”
বিভাজনের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে ‘একতার রাজনীতি’ চালু করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন নতুন আত্মপ্রকাশ করা ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এ দেশ থেকে পরিবারতন্ত্র কবর দেওয়া হয়েছে। দেশে কামারের ছেলে প্রধানমন্ত্রী হবে; কুমারের ছেলে প্রধানমন্ত্রী হবে। দেশে নেতৃত্ব উঠে আসবে যোগ্যতার ভিত্তিতে।
“সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।”
বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ আহ্বায়ক বলেন, “আমরা দীর্ঘ দেড় দশকের আওয়ামী জাহিলিয়াতের শাসনের পরে আজ মুক্ত বাংলাদেশে যে সংসদ ভবনকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছি, সেই সংসদ ভবনে যেতে আজ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দাঁড়িয়েছি।”
হাসনাত বলেন, “লগি-বৈঠা থেকে শুরু করে ২০০৯ সালে দেশে ‘ডিফেন্স অব ফাস্টলাইন’ বিডিআরকে কীভাবে ভারতীয় আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, আপনারা দেখেছেন।
“স্পষ্ট বিডিআর হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ হিসেবে চালানো হয়েছে। শাপলা চত্বরে আমাদের দাঁড়ি-টুপিওয়ালা ভাইদের ওপর রাতের অন্ধকারে কীভাবে জোনোসাইড চালানো হয়েছে!”
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন দেশে কীভাবে দিনের ভোট রাতে চালু করার সংস্কৃতি চালু হয়েছে; কীভাবে ডামি ইলেকশন চালু করা হয়েছে।”
আমরা ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের কবর রচনা করেছি। আমরা বলতে চাই, এই সংসদ ভবনে কে যাবে, সেটি নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ থেকে, ভারত থেকে নয়। নির্ধারণ করবে দেশের খেটে খাওয়া জনতা।”
তিনি বলেন, “দীর্ঘ দেড় দশকের সময়ে আমরা একটা জাতি গড়ে তুলতে পারিনি, বিভাজনের রাজনীতি ইচ্ছাকৃতভাবে জিইয়ে রাখা হয়েছে। আমরা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারিনি, স্বাধীন পুলিশ ও বিচার বিভাগ নিশ্চিত করতে পারিনি।
আমরা প্রতিশ্রুতি দিতে চাই, স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলব। আমরা এই বিভাজনের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে একতার রাজনীতি চালু করব আমরা, স্টেট ডেভেলপ করব।”